বার্তা ২৪ ডটনেট : চিকিৎসকরা আন্তরিক না হলে হাসপাতাল কোনো কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল একটি ভৌত অবকাঠামো। এটিকে কার্যকর করার দায়িত্ব চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মীদের। একটি হাসপাতাল মানুষের কোনো কাজেই আসবে না, যদি না আপনারা সঠিকভাবে সেবা প্রদান করেন।’’
গতকাল রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের পাশে সেনানিবাস এলাকায় পাঁচশ’ শয্যার ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসরত বেসামরিক জনগণের জন্য একশ’ শয্যার ‘সিরাজ-খালেদা মেমোরিয়াল ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল’ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতার প্রথম সেবামূলক প্রকল্প। ঢাকা সেনানিবাস রেল স্টেশনের বিপরীতে ছয় একর জায়গার ওপর পাঁচশ’ শয্যার এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালটি চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে রাজধানীর উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘এ এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বড় কোনো সরকারি হাসপাতাল ছিল না। অসুস্থ হলে এ এলাকার জনগণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যেতে হতো।’’
হাসিনা বলেন, ‘‘আমাদের সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকেও আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যসেবার মতো মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে পূরণ করতে।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালকে উন্নত করা। আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখন আর রোগীদের ঢাকায় আসতে হবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকাতেই চিকিৎসা পাবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। আরো ৯৭টিতে শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে।
১৮টি জেলা হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জেলা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালটির বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন, স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুনক কবির ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল আব্দুল করিম খান উপস্থিত ছিলেন।